৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ১১:২৬
শিরোনামঃ

পাকিস্তানকে ১৪৭ রানে বেঁধে ফেলেছে ভারত

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ রবিবার, আগস্ট ২৮, ২০২২,
  • 174 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

দুবাইয়ে খেলা হলে টস একটা অন্যতম প্রভাবক। বিশেষ করে কোনও টুর্নামেন্টের প্রথমভাগে। এশিয়া কাপে ভারত আজ সেই সুবিধাটাই কাজে লাগাতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তানকে। শুরুতে বোলিং নেওয়ার কারণটাও টের পাওয়া যায় আস্তে আস্তে। শর্ট বল কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানকে বেঁধে ফেলেছে ১৪৭ রানে। অবশ্য শেষ দিকে দাহানির ক্যামিও ইনিংস স্কোরটাকে সমৃদ্ধ করতে অবদান রেখেছে। ফলে রোহিত শর্মাদের প্রথম ম্যাচে জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৪৮ রান। প্রথম ৫টি উইকেটই পড়েছে শর্ট বলে।

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর খেলায় উত্তেজনার সবটুকুই ছিল আজ। সে কারণেই শুরুতে দুই ওপেনারকে বোতলবন্দী করে রাখতে সক্ষম ছিলেন ভারতীয় পেসাররা। বার বার শর্ট লেংথের বলে ব্যাটারদের অস্বস্তিতে ফেলছিলেন। শুরুর প্রথম ওভারেই পাকিস্তানকে ভয় পাইয়ে দেন ভুবনেশ্বর। একবার লেগ বিফোরের আবেদনে রিজওয়ানকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। পরে অবশ্য রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। একই ওভারে আবারও কটবিহাইন্ডের জন্য রিভিউ নেয় রোহিত শর্মারা। কিন্তু সাফল্য মেলেনি। শেষ পর্যন্ত ভুবনেশ্বরের তৃতীয় ওভারে পরাস্ত হন অধিনায়ক বাবর আজম। বাউন্সারে বাবর পুল করতে গেলে ফাইন লেগে ধরা পড়েন র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর ব্যাটার।

অধিনায়কের বিদায়ে শুরুতে পাকিস্তানকে আক্রমণাত্মক চেহারায় দেখা যায়নি। বরং সতর্ক ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিজওয়ান। পাওয়ার প্লে শেষ ওভারেই অবশ্য হাত খুলে স্কোরটা বাড়িয়ে নিতে মনোযোগী হন তিনি। আবেশ খানের ওভারে একটি চার ও একটি ছয় মেরে স্কোরটা ৪৩ এ নিয়ে যান। অবশ্য একই ওভারে ফখর জামান ফিরলে পাওয়ার প্লেতেই দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে।

তার পর মোমেন্টাম ফেরানোর চেষ্টা ছিল রিজওয়ান-ইফতিখারের। ঠিক এমন সময়ে আবার বাউন্সারে কপাল পুড়ে পাকিস্তানের। পান্ডিয়ার শর্ট বলে ২৮ রানে ফেরেন এই ব্যাটার। তখন অবশ্য রিজওয়ান ক্রিজে থাকায় বিপদের সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু ইফতিখারের বিদায়ের পর পর পান্ডিয়ার শর্ট বল কৌশলেই বিপদের শুরু পাকিস্তানের। তালুবন্দি হন ইনিংসের সফলতম ব্যাটার রিজওয়ান। তাকে ৪২ বলে ৪৩ রানের ইনিংসেই ফিরে যেতে হয়েছে। আরেকটি শর্ট বলে খুশদিল শাহও গ্লাভসবন্দি হলে বিপদ আরও বাড়ে তাদের। বিপজ্জনক আসিফ আলীও মাত্র ৯ রানে ভুবির বলে তালুবন্দি হলে ইনিংসটা যে বেশি দূর যে যাচ্ছে না, সেটি নিশ্চিত হয়ে যায়। তার পর নওয়াজ (১), শাদাব (১০) ও অভিষিক্ত নাসিম (০) কোনও অবদান রাখতে পারেননি।

লেজটা আরও আগেই ছেঁটে যেত হারিস রউফের ক্যাচটা নিতে পারলে। কিন্তু শাহনেওয়াজ দাহানি শেষে বিস্ফোরক গতিতে ব্যাট চালিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন স্কোর বোর্ড। তাদের ব্যাটেই ১৯.৫ ওভারে ১৪৭ রানের পুঁজি পায় বাবর আজমের দল। দাহানি বোল্ড হওয়ার আগে ৬ বলে দুটি ছক্কায় ১৬ রান করেছেন। রউফ ৭ বলে ২টি চারে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ২৫ রানে তিনটি নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৩ রানে দুটি শিকার করেছেন আরশদ্বীপ। ১৯ রানে একটি নিয়েছেন আবেশ খান।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo