নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়নে ফেরদৌসী আক্তার টুম্পা নামের এক গৃহবধূকে যৌতুকের দায়ে মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সাইদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৯ সালে ফেরদৌসী আক্তার টুম্পাকে ইসলামি শরিয়াহ অইনুযায়ি বিয়ে করেন সাইদুল ইসলাম। বিয়ের পর থেকেই সাইদুল তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে চাপ দিয়ে আসছিল। পরে বাধ্য হয়ে ফেরদৌসী আক্তার টুম্পা স্বামী সাইদুলকে ব্যবসার জন্য নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ও একটি মোটরসাইকেল এনে দেয়। কিন্তু লম্পট সাইদুল উক্ত টাকা কিছুদিনের মধ্যেই মাদক সেবন করে খরচ করে ফেলে। এর মধ্যই তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয় এবং পুত্র সন্তানের কথা চিন্তা করে গৃহবধূ টুম্পা স্বামীর নির্যাতন নীরবে সহ্য করতে থাকে। বিয়ের এত দিন পার হয়ে গেলেও স্বামীর ভালোবাসা না পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর টুম্পার বহু কষ্টে জীবনযাপন করতে হয়েছে বলে জানা যায়। বেপরোয়া সাইদুল পুনরায় ব্যবসার উদ্দেশ্যে স্ত্রীর কাছে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা পেতে প্রতিনিয়ত চাপ দিতে থাকে ও নির্যাতন করতে থাকে।
এক পর্যায়ে গত ৩১/০৭/২২ তারিখে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় সাইদুল ইসলাম গৃহবধূ টুম্পাকে টাকার জন্য চাপ দিলে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে তাকে বেধড়ক মারপিট ও শারীরিক নির্যাতন করে বলে জানা যায়। একপর্যায়ে গৃহবধূ টুম্পার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে এবং তাদের সহযোগিতায় গৃহবধূ টুম্পা সন্তানসহ তার নিজ বাড়িতে গেলে তাদের সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয় গৃহবধূ টুম্পা। পরে আত্মীয়-স্বজন ও পরিবারের পরামর্শ ক্রমে গৃহবধূ টুম্পা তার স্বামী সাইদুলের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং ২৯৪। এ মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন সাইদুলের পিতা ও তার দুই ভাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ টুম্পা বলেন, আমি লম্পট সাইদুলের বিচার চাই, আমাকে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে যা আমি দীর্ঘদিন সহ্য করেছি পরিশেষে আমি বাধ্য হয়ে ওর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি সঠিক বিচারের জন্য।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য আমরা আদালত থেকে নির্দেশ পেয়েছি, শীঘ্রই তদন্ত সাপেক্ষে আমরা দোষীদের আইনের আওতায় আনব।