নিজস্ব প্রতিবেদক: “শুশুক ডলফিন রক্ষা করি জলজ প্রতিবেশ ভাল রাখি” প্রতিপাদ্য বিষয় এবং ‘ডলফিন যেখানে অধিক মাছ সেখানে’ এই স্লোগান নিয়ে রাজশাহীর পবায় আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে অতিথিবৃন্দ ও মৎস্যচাষী এবং জেলেদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের হয় ও র্যালি শেষে হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বন অধিদপ্তর, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লসমি চাকমা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া সামাজিক বন অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. আরজিয়া বেগম ও মো. ওয়াজেদ আলী খাঁন, সামাজিক বন বিভাগ রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান শাহ, সহকারী বন সংরক্ষক মেহেদীজ্জামান ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আসাদুজ্জামান।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মদ নিয়ামুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জেলে, সাংবাদিক, উপজেলা প্রশাসন ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, বন অধিদপ্তর রাজশাহীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবসের গুরুত্ব ও ডলফিন সংরক্ষণের উপর আলোচনায় বলেন, ডলফিন বা শুশুক মাছ নয় এরা স্তন্যপায়ী প্রানী।
এদের মারা এবং খাওয়া উভয় দন্ডনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে পানিতে শুশুক বা ডলফিন থাকবে সে পানিতে মাছ বেশী হয়। কারন এরা রোগা মাছকে খেয়ে পরিবেশ ভাল রাখে বলে জানান তারা। সেইসাথে ডলফিন মানুষের পরম বন্ধু এবং বৃদ্ধিমত্তায় মানুষের পরেই এদের স্থান এবং নিরিহ প্রাণী বলে উল্লেখ করে ডলফিন রক্ষায় জালে ধরা পড়লে সাথে সাথে এদের ছেড়ে দেয়ার জন্য উপস্থিত জেলেদের প্রতি অনুরোধ করেন বক্তারা।