খুলনার পর এবার বরিশাল মহাসমাবেশের একদিন আগে থেকে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপ। মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধ করার দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে ৪৮ ঘণ্টার বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে।
তিনি বলেন, মহাসড়কে নসিমন, করিমন ও থ্রি হুইলারসহ অবৈধ যানচলাচল বন্ধের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার বাস ধর্মঘটের দাবিতে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে যদি এই দাবি মানা না হয় তাহলে ৪ ও ৫ নভেম্বর বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন।
তিনি জানান, এতদিন মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল করলেও তখন কেন ধর্মঘটের ডাক দেয়নি। বিএনপির গণসমাবেশকে সামনে রেখে তাদের এ ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আগামী ৫ নভেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ ব্যাহত করার স্পষ্ট পাঁয়তারা।
তবে বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা সড়ক-মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধের দাবি এবং বাস ধর্মঘটের বিষয়টি নিয়ে আরও সাত দিন আগে থেকে সভা করছি। বিএনপি কী সমাবেশ করছে বা কবে করছে, সেটা আমরা কিছুই জানি না। আমাদের ধর্মঘটের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের দেওয়া স্মারকলিপি বিভাগীয় কমিশনারের পাশাপাশি অনুলিপি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, র্যাব-৮ অধিনায়ক, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
স্মারকলিপিতে, সড়ক নিরাপত্তার জন্য বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে অবৈধ যান নসিমন, করিমন, ভটভটি, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল, সব ধরনের থ্রি হুইলারসহ অনুমোদনহীন দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২০ সালের ২৯ মে সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে এক সভা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে সকল প্রকার অবৈধ যান বন্ধ করার সিদ্বান্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল করছে। দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।