৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা ৭:১৯
শিরোনামঃ

ফেল করেও রাবিতে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন ৬০ শিক্ষার্থী

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ সোমবার, নভেম্বর ৭, ২০২২,
  • 229 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর পেতে ব্যর্থ হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬০ জন সন্তানকে ওয়ার্ড কোটায় ভর্তি এবং পূর্বনির্ধারিত ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে।

তিনি বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানরা ওয়ার্ড কোটায় ভর্তি হতে পারবেন। মোট আসনের ৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৪ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে ভর্তি উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওয়ার্ড কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ‘সি’ ইউনিটে আবশ্যিকে ২৫ ও ঐচ্ছিকে ১০ নম্বর পাওয়ার শর্ত পূরণ করতে পারেননি এমন ওয়ার্ড কোটার শিক্ষার্থীদেরও ভর্তি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ সদস্য এতে অসম্মতি জানালে ওই দিন প্রস্তাবটি সভায় পাস হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটাসহ ৪ হাজার ৬৪১টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০। প্রতি বছর ওয়ার্ড কোটায় মূল আসনের ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস নম্বর পেলে ভর্তির সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানদের বিশেষ বিবেচনায় এই সুযোগ দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোটার আওতায় থাকা শিক্ষার্থীরা এমনিতেই নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এরপরও পাস নম্বর কমানোর কোনো বৈধতা থাকতে পারে না।

ওয়ার্ড কোটাকে ধিক্কার জানিয়ে আরমান বাশার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, উচ্চমাধ্যমিক কোনো মতো পাস করতে পারলেই এই কোটায় ভর্তি করানো গেলে আরও ভালো হয়। ধিক্কার জানাই এসব সুবিধা ভোগীদের। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে এত বড় অনিয়ম হয়, তাহলে ভর্তিচ্ছু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে।

অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ভর্তির সমালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদ্ধতি কখনো গ্রহণযোগ্য নয়, কাম্যও নয়। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। তার নিচে এসে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা ঠিক নয়। বেশির ভাগ শিক্ষকই এই পদ্ধতির বিপক্ষে। কারণ এটা নিয়ে বারবার সমালোচনা ও বিতর্ক হয়।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo