মসজিদে এসি ও ফ্যান একসঙ্গে চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ইউনুস আলীসহ তার দুই ভাই গুরুতর আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করে।
রোববার (১৬ এপ্রিল) রাতে তারাবির নামাজ শেষে বরিশাল নগরীর ভাটিখানা এলাকার জোড় মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আটককৃতরা হলেন, ওই এলাকার বাসিন্দা সুলতান আহম্মেদ খানের ছেলে সাজোয়ান খান (৩৫), আসাদুজ্জামেনর ছেলে নাইম ইসলাম (২৬), আ. মান্নান খানের ছেলে মহিবুল (২৮), সাজ্জাদ কবিরের ছেলে সাজ্জাদ সাইম নিসান (২৯) ও ইদ্রিস আলী খানের ছেলে মিরাজ খান (৩৪)।
আহতরা হলেন, জোর মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ও ব্যবসায়ী ইউনুস আলী, তার ভাই মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা রশিদ তালুকদার ও বাসেদ তালুকদার।
আহত মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ইউনুস আলী বলেন, রোববার রাতে মসজিদে তারাবির নামাজের সময় এসি ও ফ্যান চালানো নিয়ে মুসল্লিদের একটি পক্ষ কুরুচিপূর্ণ ভাষায় বাগবিতণ্ডা শুরু করেন। নামাজ শেষে এ নিয়ে তিনি কথা বলতে গেলে রাজ্জাক খান ও সুলতান খান বিতর্কে জড়ান। এরই ধারাবাহিকতায় মসজিদের ভেতর বসেই তিনিসহ ভাইদের ওপর হামলা চালায় রাজ্জাক খান ও সুলতান খান। এসময় মুসল্লিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলেও পরবর্তীতে তারা মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় রাজ্জাক খানের ছেলে বাবু ও সুলতান খানের ছেলে সাজওয়ান খানসহ ১০-১৫ জন মিলে তাদের ওপর পুনরায় হামলা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে এবং হামলাকারী বেশ কয়েকজনকে আটক করে।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।