পটুয়াখালী শহরের পুরান বাজার এলাকার মিঠাপুকুর পাড় ও টাউন স্কুল সংলগ্ন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে রাত ১০টার দিকে এটি নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৫টি দোকান, একটি ৫ তলা ভবনসহ অগ্রণী ব্যাংকের একটি শাখার আংশিক আগুনে পুড়ে যায়।
তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক তথ্য এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এই অগ্নিকাণ্ডে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যসহ মোট ছয়জন আহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের আহত ফায়ার ফাইটার রাসেলকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে বাকিরা সবাই পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এদিকে আগুনের সূত্রপাত ও অগ্নিকাণ্ডের কারণ সহ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দোকান হারিয়ে পুরান বাজার মিঠাপুকুর পাড় এলাকার দই-মিষ্টির দোকানের মালিক শান্তি চন্দ্র ঘোষ বলেন, লঞ্চঘাটে দোকানদারি করে আমরা দোকানে এসেছি। এর কিছুক্ষণ পরেই শুনি আগুন লাগছে। দোকানের সামনে নেমে দেখি আগুন এদিকে এগিয়ে আসছে। আমি আর আমার ছোট ভাই দোকান থেকে নেমে দৌড়ে যাই। চোখের সামনে তাকিয়ে আমার দোকান পুড়তে দেখেছি। এমনকি আমার ভোটার আইডি কার্ডটা পর্যন্ত আগুনে পুড়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, ৩ ঘণ্টার আগুনে দোকানের সব মালামাল কলা, চিড়া, দুধ, মিষ্টিসহ সব কিছু আগুনে পুড়ে গেছে। শুধু পরনের এই লুঙ্গি পরে রাস্তায় নেমে এসেছি। জামা-কাপড় টাকা-পয়সা কোনো কিছুই সঙ্গে করে নিয়ে আসতে পারিনি। আমার কিছুই নাই। ৪০ বছর ধরে দোকানদারি করি, আগুনে এক নিমিষেই সব পুড়ে ছাই।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রথমে পটুয়াখালী সদর ফায়ার স্ট্রেশন দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে অন্যান্য উপজেলার মোট ৯টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে রাত ১০টা ৬ মিনিটে আগুন নির্বাপণ করে। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনো বলা যাচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি তদন্ত করে দেখবে কীভাবে আগুন লাগল। এছাড়া ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা তৈরি করা হবে। পরে সরকারিভাবে তাদের সহযোগিতার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।