৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ১১:১১
শিরোনামঃ

বরিশালে নতুন লাইসেন্স পাচ্ছে ৫ হাজার ইজিবাইক

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ সোমবার, মে ৮, ২০২৩,
  • 158 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

বরিশাল নগরীতে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে সাবেক দুই মেয়রের আমলে সিটি করপোরেশন থেকে চলাচলের জন্য অনুমোদন দেয়া হয় আড়াই হাজারেরও বেশি ইজি বাইককে। অনুমোদনের ক্ষেত্রে এসব যানবাহন অগ্রাধিকার পাবে। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধশত ইজিবাইকের টোকেন এবং ব্লু- বুক হস্তান্তর করা হয়েছে।

নগরভবন সূত্রে জানা গেছে, ‘তৎকালিন মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সময়ে নগরীতে চলাচলের অনুমোদন পায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক বা অটো রিকশা। তারা প্রথম দফায় দেড় হাজার ইজিবাইকের অনুমোদন দেন। পরবর্তী সময়ে বিএনপির মেয়র আহসান হাবিব কামালের সময়ে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৬১০টিতে।

এদিকে, ‘পরিবেশ বান্ধব হলেও বিদ্যুৎ অপচয় রোধে ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশ দেয় জালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এরপরই ২০১৯ সাল থেকে অনুমোদন দেয়া ইজিবাইকের নবায়ন বন্ধ করে দেয় সিটি করপোরেশন। তবে নবায়ন বন্ধ থাকলেও কতিপয় ট্রাফিক পুলিশ এবং শ্রমিক সংগঠনকে চাঁদা দিয়ে বহাল তবিয়তেই চলছিলো ইজিবাইক। সেই সাথে হু হু করে বাড়তে থাকে ইজিবাইকের সংখ্যা। বর্তমানে এই যানবাহনের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এতে নগরজুড়ে যানজটের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হয় সিটি করপোরেশন।

অপরদিকে, ‘মন্ত্রণালয়ের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করে ঢাকার কয়েকজন ব্যাটারি ব্যবসায়ী। গত বছর মাঝামাঝি ওই মামলায় ইজিবাইকের পক্ষে রায় দেয় আদালত। এরপরই বরিশাল নগরীতে নতুন করে ইজিবাইকের অনুমোদন দেয়ার ঘোষণা দেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।

এই ঘোষণার বাস্তবায়ন শুরু হয় চলতি বছরের গত ২৬ মার্চ থেকে। ওইদিন সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ জন চালক ও মালিকের হাতে ইজিবাইকের ব্লু- বুক এবং পোশাক তুলে দেন। বর্তমানে ইজিবাকের ব্লু- বুক দেয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২৬ মার্চের আগেই ব্ল-বুক পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করে সিটি করপোরেশন।

সিটি করপোরেশনের যানবাহন শাখা থেকে জানানো হয়েছে, ‘প্রায় দশ হাজার আবেদন জমা হয়েছে ব্লু- বুক পাওয়ার জন্য। এগুলো যাচাই বাছাই করে পাঁচ হাজার ইজিবাইক মালিক ও চালককে ব্লু- বুক দেয়া হচ্ছে।

সিটি করপোরেশনের যানবাহন শাখার তত্ত্বাবধায়ক কবির বলেন, ‘আগের ইজিবাইকগুলোর নতুন করে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে। এদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমরা ব্লু- বুক দিচ্ছি।

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘পুরানো ইজিবাইকের নবায়ন ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ। এখন নবায়ন করতে গেলে তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। তবে একজন শ্রমিকের পক্ষে এক সঙ্গে ২০-২৫ হাজার টাকা দেয়া সম্ভব নয়। সে দিক বিবেচনা করে তাদের সব বকেয়া নবায়ন ফি মওকুফ করে দিয়েছেন সিটি মেয়র। এমনকি নতুন করে যাদের ব্লু- বুক দেয়া হচ্ছে তাদের কাছ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জন্য ভ্যাটসহ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা জমা রাখা হচ্ছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo