৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সন্ধ্যা ৬:৪৩
শিরোনামঃ

ভোলায় দাদিকে বিয়ে করলেন নাতি, এলাকায় চাঞ্চল্য

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ বৃহস্পতিবার, জুন ১, ২০২৩,
  • 173 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন এক যুবক। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

গত বুধবার (২১ মে) ভোলা গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। এরপর একই দিন নাতি তার দাদিকে কাজির মাধ্যমে আবারও বিয়ে করেন।

গতকাল বুধবার (৩১ মে) উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাদের একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে স্থানীয় মানুষ।

বিয়ে করা নাতির নাম মো. মিরাজ (২৩)। তিনি শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিরাজের দাদা শাহে আলম ব্যাপারী তিনটি বিয়ে করেন। সামসুন্নাহার বেগম (৪২) মিরাজের দাদার তৃতীয় স্ত্রী। কিন্তু মিরাজ দাদার প্রথম স্ত্রীর নাতি। প্রায় দেড় বছর আগে মিরাজের দাদা শাহে আলম মারা যান। এরপর থেকে তিন সন্তানের জননী সামসুন্নাহার একা হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন নাতি মিরাজ।

এদিকে, দাদি সামসুন্নহারের বাড়ি যাতায়াত করতে থাকেন মিরাজ। পরে স্থানীয়রা তাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে থাকেন। এই কারণে নাতি মিরাজ ও সামসুন্নাহার গত ২১ মে ভোলা গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। পরে একই দিন নাতি ও দাদিকে কাজির মাধ্যমে আবারও বিয়ে করেন।

এ বিষয়ে মিরাজ জানান, বিয়ে করাটা কোনো পাপ না। আমি দাদিকে বিয়ে করে কোনো পাপ করিনি। আমি নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছি। আমাদের সংসার সুখেই চলছে।

দাদি সামসুন্নাহার বেগম জানান, ভোলায় গিয়ে মিরাজ আর আমি বিয়ে করেছি। গত ২১ মে বিয়ে করার পর থেকে মিরাজ আমার বাড়িতেই আছেন। আমরা খুব ভালো আছি।

শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী জানান, দাদি ও নাতির বিয়ের খবরটি শুনেছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, জোর করে কেউ কাউকে বিয়ে করেনি।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo