একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করাও আমাদের অঙ্গীকার বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি বলেন, দেশের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অবক্ষয় রোধ ও শৃঙ্খলা ফেরানো অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য। আমাদের কাজ হচ্ছে আইনের প্রতিষ্ঠা, প্রশাসনিক সুশাসন ও পুলিশ বিভাগের কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনা।
রোববার (১৯ মে) বরিশাল সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, সবাই কেন মনে করছেন এই অল্প সময়েই অতীতের সব পুঞ্জীভূত দাবি মেটাতে হবে তা আমি বুঝতে পারি না। একটি দায়িত্বশীল নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা আরও সংবেদনশীল হবে। দয়া করে একটু ধৈর্য ধরুন।
ভোলা-বরিশাল সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই প্রকল্পটির প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যাবে না, তবে এটি ভবিষ্যৎ সরকার গ্রহণ করলে আরও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। ভোলা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসব অঞ্চলে বিপুল গ্যাস মজুদ রয়েছে। অথচ আমরা বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ বাড়িয়েছি। সময়মতো উত্তোলন শুরু করলে আজ গ্যাস সংকট থাকত না।
উপমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যথাসাধ্য বাজেট রাখার। ঈদুল আজহার আগে উৎসব ভাতা বাড়ানোরও ব্যবস্থা নিয়েছি।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের অংশগ্রহণমূলক প্রশাসনিক উদ্যোগ বরিশালের উন্নয়নকে আরও গতিশীল করবে এবং তরুণ সমাজের জাগরণ নতুন নেতৃত্বকে বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে উদ্বুদ্ধ করবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বরিশালের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী এবং এনজিও প্রতিনিধি। তারা নাগরিক সেবা, জনদুর্ভোগ, পরিবেশ রক্ষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত একাধিক প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।