৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৩:১০
শিরোনামঃ

বাজারে বেড়েছে চিনির দাম, কমেছে মুরগির

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ শুক্রবার, আগস্ট ২৬, ২০২২,
  • 212 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে চিনির দাম। কমেছে মুরগি ও সবজির দাম।

এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত আছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। শসা কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে সিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল ২৪০ টাকা, করলা  ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকা।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমেছে। ৮০ টাকা দাম কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম কমেছে। সাপ্লাই ও আমদানি ভাল থাকায় সবজির দাম কমেছে।

এছাড়া আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

এদিকে দাম বেড়েছে চিনির। খোলা প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়াও লালা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের চিনি বিক্রেতা মো. নাহিদ বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা চিনির কেজিতে দাম বেড়েছে ৭ থেকে ৫ টাকা। খোলা চিনির কেজি ৯০ টাকা বিক্রি করছি। প্যাকেট চিনির কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। লাল চিনি কেজি বিক্রি করছি ১০০ টাকার। পাইকাররা বলছেন, আমদানি ও যাতায়াত খরচ বাড়ায় দাম বেড়েছে চিনির। কবে দাম কমবে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ভারতীয় মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

বাজারে আবার বেড়েছে খোলা আটার দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকায়। গত সপ্তাহে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটার এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা। ২ কেজির প্যাকেট আটা আগে বিক্রি হত ১১০ টাকায়।

বাজারে ৭ টাকা বাড়ানোর পর নতুন দামের ভোজ্যতেল না আশায় আগের দামেই তেল বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা।

এসব বাজারে লাল ডিমের দাম কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, ডিমের দাম কমেছে। লাল ডিমের ডজনে আরও ১০ টাকা কমেছে। এখন লাল ডিমের ডজন ১২০ টাকা। ডিমের দাম আর কমার সম্ভাবনা নেই। খামারিরা বলছেন- তাদের লস হচ্ছে। এক মাস পরে আবার ডিমের দাম বাড়তে পারে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ ভাল। ব্রয়লার মুরগির দাম আর কমছে না। কক মুরগির দাম আবারও বাড়তেও পারে, কমতেও পারে। সোনালি মুরগির দাম নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। শুক্রবার মুরগির চাহিদা বেশি থাকলে ৫ থেকে ১০ টাকা কেজিতে দাম বাড়ে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo