৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ২:৪৬
শিরোনামঃ

বরগুনার ২ এনজিওর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ সোমবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২,
  • 173 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

বরগুনার তালতলীতে দুটি এনজিওর বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রত্যয়নপত্র আনতে গেলে বিষয়টি ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে এনজিও ব্যুরোতে চিঠি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে, সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় দায়সারা কাজের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে, অভিযুক্ত এনজিও কর্মকর্তাদের দাবি, এক বছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও অফিস পরিচালনার খরচের টাকা উত্তোলনের জন্য প্রত্যয়নপত্র চাওয়া হয়েছে।

বরগুনার তালতলী উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের পুষ্টি সহায়তা, হাত ধোয়া ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন করতে রাইট টু গ্রো নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন কনট্রেলা ফেইম (এসিএফ)। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে ‘জাগো নারী’ নামে আরেকটি বেসরকারি সংস্থা প্রত্যক্ষ সহায়তা করছে। যাতে জাগো নারীর বরাদ্দ ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর প্রায় ১৩ কোটি টাকা খরচ করবে এসিএফ।

প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০২১ সালে এসিএফ-এর বরাদ্দ ৩ কোটি ১২ লাখ এবং জাগো নারীর প্রায় ৫৪ লাখ টাকা। সম্প্রতি তারা এক বছরের টাকা উত্তোলন করতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রত্যয়নপত্রের আবেদন করে। কিন্তু নামমাত্র প্রকল্পের কাজ করা ও নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে আবেদনে স্বাক্ষর দেননি তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাওছার হোসেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এনজিও ব্যুরোতে চিঠিও দেন তিনি। যার সত্যতা স্বীকার করেছেন বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সাদিক তানভীর বলেন, ‘২০২১ সালে যে কাজ করার কথা, সেটা কিছুই করেনি তারা। না করেই প্রত্যয়নপত্র চেয়েছে। তাদের কাজের মূল্যায়ন সাপেক্ষে আমরা প্রত্যয়ন দিইনি।’

এদিকে সরেজমিন প্রকল্প এলাকায় ঘুরে নিয়মিত কিছু মিটিংয়ের বিষয় উঠে এসেছে। বেশির ভাগই প্রকল্পের আওতায় আসেনি বলে অভিযোগ সুবিধাভোগীদের। তারা বলেন, ‘এনজিও জাগো নারী আমাদের কাছে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো বিষয় নিয়ে আসেনি।’

তবে, জাগো নারীর কর্মকর্তা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, গত এক বছরে তাদের ২৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে, যা অডিটেও প্রমাণিত। সেটিরই প্রত্যয়নপত্র চাওয়া হয়েছে। জাগো নারীর প্রধান নির্বাহী হোসনে আরা হাসি বলেন, ‘এনজিও ব্যুরোর অনুমোদিত অডিট ফার্ম দিয়ে আমরা অডিট করিয়েছি। আমাদের ২৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই টাকাই চাওয়া হয়েছে।’

২০২১ সালের মে মাসে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। এতে অর্থায়ন করছে নেদারল্যান্ডস সরকার।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo