বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালে শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় দখলে নিয়েছে বর্তমান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বিরোধী শ্রমিক নেতাকর্মীরা।
ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সুমন মোল্লা রোববার কার্যালয়ের তালা ভেঙে দখলে নেয়। তবে ঘটনাটি সোমবার জানাজানি হওয়ার পর টার্মিনালের দুই গ্রুপের শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিষয়টি স্বীকার করে সুমন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অফিসটি তালাবদ্ধ ছিল। তাই শ্রমিকদের স্বার্থে তালা ভেঙে কার্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে।’
সুমন মোল্লা বরিশাল সদর আসনের এমপি ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম এমপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। প্রায় দুই বছর আগে জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী শ্রমিক নেতাদের হটিয়ে কার্যালয় দখলে নিয়েছিলেন সাদিক অনুসারী শ্রমিক নেতারা।
সাধারণ শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সুমন মোল্লা ও তার লোকজন রোববার সকালে কার্যালয়ের তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। সোমবার থেকে শ্রমিকদের বদলি স্লিপ বিতরণ ও ইউনিয়নের কার্যক্রম শুরু করে। ফলে টার্মিনালের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আমরা সাধারণ শ্রমিকরা আতংকে রয়েছি।
শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, ইউনিয়নের পুরানো সদস্য হলেও তাদের বেকার রাখা হয়েছিল। অর্ধশত শ্রমিকদের কোন ডিউটি দেওয়া হতো না। সাদিক অনুসারী মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস বলন, ‘কমিটি নিয়ে মামলা থাকায় উচ্চ আদালত ইউনিয়নের অফিসের বিষয়ে স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি ওসিকে জানিয়েছি।’
ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সুমন মোল্লা বলেন, ‘অফিস তালা দেওয়া ছিলো। সেই তালা শ্রমিকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বদলি স্লিপের বিষয়ে আলোচনা চলছে। শ্রমিকদের সেবা দেওয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। তাই আমরা নতুন করে শ্রমিকদের জন্য কাজ করবো।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল রূপাতলী বাস র্টামিনালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিলো।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সুমন মোল্লা নামক এক শ্রমিক নেতা ইউনিয়ন অফিস দখল করেছেন বলে শুনেছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।