৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ১০:৫৯
শিরোনামঃ

যে কারণে শিশুর সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখবেন

আরমান মৃধা
  • আপডেট টাইমঃ শনিবার, জুলাই ২৩, ২০২২,
  • 214 সংবাদটি পঠিক হয়েছে
যে কারণে শিশুর সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখবেন
যে কারণে শিশুর সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখবেন

যে কারণে শিশুর সুন্দর ও অর্থবোধক নাম রাখবেন

একটি শিশু জন্ম হওয়ার পর তার নাম রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সন্তানের মতো নেয়ামত লাভের পর তার সুন্দর নাম রাখাও শুকরিয়া প্রকাশের একটি মাধ্যম। নাম শুধু মানুষের পরিচয় বহন করে না বরং মানুষের ব্যক্তিত্বের ওপর এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এজন্য সন্তানের সুন্দর, অর্থবোধক, চিত্তাকার্ষক ও ইসলামী নাম রাখা মুসলমান মা-বাবার ওপর আবশ্যক।

শিশুর সুন্দর নাম রাখার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন রাসূল ( সা.) এবং তিনি মন্দ ও শিরিকের অর্থবহন করে এমন নাম রাখতে নিষেধ করেছেন।

হজরত ইবনে ওমর ( রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ( সা.) বলেছেন, আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান নাম দুটি আল্লাহ তায়ালার কাছে সব থেকে প্রিয়। এই হাদিসের মাধ্যমে বুঝানো হয়েছে, নাম রাখার সময় এমন নাম নির্বাচন করা উচিত যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব ও তার প্রতি আনুগত্যের বিষয়টি প্রকাশ পায়। – সহিহ মুসলিম, ২৩১২

এক হাদিসে বলা হয়েছে, নবজাতকের নাম কোনো নবীর নামে রাখা যেতে পারে। হজরত জাসামী ( রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ( সা.) বলেছেন, তোমরা শিশুদের নাম নবী রাসূলদের নামে রাখো। সুতরাং এমন নাম নির্বাচন করা উচিত যা অর্থবহ এবং সত্যতার ওপর যার ভিত্তি রয়েছে। – মুসনাদে ইমাম আহমাদ, ৫৩৩।

যেসব নামের মাধ্যমে কুৎসিত অর্থ প্রকাশ পায় এবং মানুষের সম্মান নষ্ট হয় এমন নাম পরিবর্তন করে রাখতেন রাসূল ( সা.)। হজরত আয়েশা রা. বলেছেন, নবীজি ( সা.) মন্দ নাম পরিবর্তন করে রাখতেন।- আবু দাউদ, ৫০৩৯

হজরত ওমর ( রা.) -এর এক নিকটাত্মীয়ের নাম আসিয়া ছিল। যার অর্থ ‘নাফরমান’। রাসূল ( সা.) তার নাম পরিবর্তন করে ‘জামিলা’ রাখেন। যার অর্থ সুন্দরী।- সহিহ মুসলিম, ৯৩২১

আরো পড়ুন: স্বামী কম খেলে স্ত্রীর ওজন কমে

এমন নাম রাখা থেকেও বিরত থাকতে হবে যা অমঙ্গল এবং এজাতীয় অর্থ বুঝায়। আবার শিশুর এমন নামও রাখা যাবে না যা আল্লাহ তায়ালার গুণাবলী ও সত্ত্বার সঙ্গে খাস। হজরত আবু দারদা ( রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ( সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন সব থেকে দুর্ভাগা হবে সেই ব্যক্তি যে নিজেকে বাদশা বলে বেড়াত। কেননা সব বাদশার বড় বাদশা আল্লাহ তায়ালা। তবে আল্লাহ তায়ালার গুণবাচক নামগুলোর শুরুতে আরবি ‘আবদ’ শব্দটি যুক্ত করে রাখা যেতে পারে।- সহিহ মুসলিম, ৩৩২১

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo