৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ১২:৫৩
শিরোনামঃ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের যে রুটে মাদক আসে

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ সোমবার, আগস্ট ২৯, ২০২২,
  • 187 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

শুধু নাফ নদী পার হয়েই মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক ঢুকছে না। সীমান্তের দুর্গম এলাকাগুলোও মাদক কারবারিদের কাছে সোনালি রুট। কেননা, ওইসব জায়গায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির নজরদারি কিছুটা কম। দুর্গম হওয়ায় সেখানকার এক বিওপি থেকে অন্য বিওপিতে যেতেও সময় লাগে অনেক। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে ইয়াবা কারবারিরা। ইদানিং আবার মাদক চোরাচালানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বড় মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারাও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্যে জানা গেছে, মিয়ানমারের যে সীমান্তগুলো দিয়ে মাদক ঢুকছে সেগুলোর মধ্যে আছে— আনাউক মাইনহলুত, আল লে থান কিয়াও, জাওমাদত, কানিনচাং, মংডু, নায়াংগইয়াং, আলে কালায়ওয়া, সাবাইগন, কিম্বুক, তমব্রু, টাউনব্রো, তমব্রু বাম, ডেকুবুনিয়া ও ফকিরাপাড়া।

বাংলাদেশ প্রান্তের রুটগুলো হলো— জালিয়াপাড়া, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, শাহপরীর দ্বীপ, দক্ষিণপাড়া, টেকনাফ, সাবরাং, ধুমধুমিয়া, জাদিপাড়া, কক্সবাজার মহাসড়ক, নোয়াপুরা, ওয়াইখ্যাং, উখিয়া, ঘুমধুম, বালুখালী বাজার, ওয়াইখ্যাং, কাটাপাহাড়, বালুখালী, বৈশফারী, পুরাতন পান বাজার, জলপাইতলী, ধলারমুক, পালংখালী, দমদমিয়া চেকপোস্ট, বদরমোকাম, জাদিমোড়া, জেলেপাড়া, স্লুইস গেটস, হোয়াইকং চেকপোস্ট ইত্যাদি।

দায়িত্বশীলরা বলছেন, সহজলভ্যতার কারণে দেশে ইয়াবাসেবী বেড়েই চলেছে। মিয়ানমারের মাদক ব্যবসায়ীদের প্রলোভনে আকৃষ্ট হয়েও দেশের অনেকে এ কাজে জড়াচ্ছে। এমনকি বাকিতে ইয়াবা সরবরাহের ঘটনাও ঘটছে।

অন্যদিকে, টেকনাফ এলাকাকে মাদকমুক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে রোহিঙ্গারা। টেকনাফ থেকে স্থল ও জলপথ ব্যবহার করে মাদক আনা-নেওয়া ঘটনায় গ্রেফতারের পর এমন তথ্য প্রায়ই উঠে আসছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, নাফ নদী ছাড়াও দুর্গম সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ঢুকছে। বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির অনেক দুর্গম পথ রয়েছে। যেখানে সার্বক্ষণিক নজরদারি সম্ভব হয় না। সেখানকার একটি বিওপি থেকে অন্য বিওপিতে যেতে দুই-তিন দিনও লেগে যায়। ওই সব এলাকায় বিওপি বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে উল্লেখ করে বিজিবি সদর দফতরের পরিচালক অপারেশন্স লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হলে সীমান্তে অপরাধ দমনে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখা যাবে। এছাড়া যেসব জায়গায় অরক্ষিত সীমান্ত রয়েছে সেগুলোকে সুরক্ষিত করতেও কাজ করছি।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo