ভারতে আটকের সাড়ে ছয় মাস পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে জামিনে মুক্তি পেলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শিলকূপ ইউনিয়নের ৩২ জনসহ মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার মোট ৮৮ জেলে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাংলাদেশ বিজিবিকে ভারতে আটকে থাকা বাঁশখালীর ৩২ জেলে, কুতুবদিয়ার ২৯ জন, মহেশখালীর ২৭ জনসহ মোট ৮৮ জন জেলেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।
ভারতে আটকে থাকা শাহ আলম মাঝি দেশে ফেরার বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করে বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমরা বাংলাদেশের সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পৌঁছাই। বর্তমানে আমরা বাড়ি ফেরার পথে আছি।’
ভারতে আটকে থাকা সোনার মদিনা ফিশিং ট্রলারের মালিক নুরুল আবসার বলেন, ‘দীর্ঘ সাড়ে ছয় মাস আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৩২ জেলের নিজ খরচে জামিনে মুক্ত করে দেশে আনতে সক্ষম হয়েছি। মাঝিমাল্লাদের জামিনে মুক্ত করতে ভারত-বাংলাদেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দপ্তর কর্মকর্তাদের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভারতে আটক ৩২ জেলের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘ সাড়ে ছয় মাস কারাভোগের পর তাঁদের দেশে ফেরার খবর পেয়েছি। জেলেরা ভারতে আটকে থাকার সময় তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকবার খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ওই ৮৮ জেলা কুয়াশায় পথ ভুলে ভারতের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করার দায়ে ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করে। আটকের দীর্ঘ সাড়ে ছয় মাস পর দেশে ফিরছেন তাঁরা।