বরিশাল নগরী থেকে দিনদুপুরে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে প্রায় ১লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর নাম মোঃ রনি হাওলাদার (৩৫)। তিনি নগরীর ২২নং ওয়ার্ড কাজিপাড়া এলাকার বাচ্চু হাওলাদারের ছেলে ও স্থানীও একটি মাল্টিপারপাস সমবায় সমিতির মালিক।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো- স্থানীয় খালেক হাওলাদারের পুত্র সুদী ব্যবসায়ী সোহাগ (৪৫) , সেলিম সরদারের পুত্র নয়ন সরদার(২৫) এবং মুজাম্মেল সরদারের পুত্র মারুফ সরদার (২০)।অভিযুক্তরা ব্যবসায়ী রনি হাওলাদারকে মারধর করে পকেট থেকে টাকাগুলো ছিনিয়ে নেয়। জানা গেছে, সন্ত্রাসীরা রনির মাথায় বেলচা দিয়ে আঘাত করে এতে তার মাথায় সাতটি সেলাইয়ের প্রয়োজন হয়।
এছারাও তার বুকে ও পিঠে লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্বকভাবে জখম করা হয়েছে।গুরুতর অবস্থায় তার স্বজনেরা তাকে শেবাচিম হাঁসপাতালে ভর্তি করে। ব্যবসায়ী রনি হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন,সোহাগ দীর্ঘদিন যাবত আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমরা একই এলাকায় বসবাস করি বিধায় তার সাথে আমার যখনই দেখা হতো সে আমার কাছে টাকা চাইতো।আমি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিয়ে সূর্যমুখী ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ি সমবায় সমিতি পরিচালনা করি।
নথুল্লাবাদ,কাজিপারা চৌমাথা এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মাঝে লোন বিতরণ করে খুব ভালোভাবেই চলছে আমার সমবায় সমিতি। আর এই সমিতি চালানোর জন্যই সে আমার উপর ক্ষোভ। কারণ! আমি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবসায়ীদের লোন দিয়ে থাকি আর সে নগদ সুদের ব্যবসা করে।
এসকল বিষয় নিয়ে সে আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করতো।তারই ধারাবাহিকতায় সে আমার কাছে টাকা চাইলো ।যদি আমি তাকে টাকা দেই তাহলে সমিতি চালাতে পারব নয়তো সমিতি বন্ধ করতে হবে। আমি তার কথায় কর্ণপাত না করায় সোহাগ ও তার বাহিনী নিয়ে আমার উপর প্রকাশ্য দিবালোকে হামলা চালায়।এসময় আমার সমিতির গ্রাহকদের সঞ্চয়ের ৯৬ হাজার ৬২২ টাকা তারা ছিনিয়ে নেয়। নথুল্লাবাদ শ্রমিক ইউনিয়নের ১৩০ এর সদস্য বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় আহত রনি হাওলাদারের স্ত্রী লিজা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।