বরিশালের বন্দর থানাধীণ হিজলতলা মৌলভির হাট চাঁনপুরা ইউনিয়নে একটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় চার ডাকাত সদস্য ও বরিশাল নগরের দুই জুয়েলার্স মালিককে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
পাশাপাশি ডাকাতি করা টাকা ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় রোববার দুপুর ২টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভুঞা জানান, বন্দর থানাধীন মো. আমিনুল ইসলাম খান এর বাসায় গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১টার দিকে জানালার গ্রীল কেটে ডাকাত দলের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য দেশীয় অস্ত্রের মাধ্যমে তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে জিন্মি করে ৩জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি চেইন, এক জোড়া রুলি, তিনটি আংটি, ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এঘটনায় মো. কামরুল ইসলাম খান বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে তদন্তে নামে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিভিন্ন স্থানে অভিযানর চালিয়ে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত মো. আল আমিন শরীফ, মো. খোকন শরীফ, মো. হালিম শরীফ, মো. মামুন ডাকুয়াকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল নগরীর কালিবাড়ী রোডস্থ গোবিন্দ সরকার এর মালিকানাধীন উত্তম অলংকার ভবন নামের স্বর্ণের দোকানে অভিযান চালিয়ে লুন্ঠিত স্বর্ণ বিক্রয়লব্দ নগদ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন এবং গোবিন্দ সরকারকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর গোবিন্দ সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার গলিয়ে ১টি বার তৈরি করে তাঁর পার্শ্ববর্তী স্বর্ণের দোকান এসডি গিনি হাউজের মালিক শ্যামল কুমার দাস এর কাছে এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। পুলিশ এঘটনায় শ্যামল কুমার দাসকেও গ্রেপ্তার করেন।
তিনি আরো জানান, ডাকাত দলের কাছ থেকে ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম ও টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভ‚ঞা জানান, গ্রেপ্তারকৃত চার ডাকাত সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুল করিম।