তুহিনুর রহমান তালুকদার, হবিগঞ্জ জেলাঃ পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে সারা বাংলাদেশে গতকাল জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মানববন্ধন পালন করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কর্মসংস্থান সহ ৭দফা দাবিতে সুনামগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদ আয়োজিত শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদ এর ধর্মীয় সম্প্রীতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আলী আজগর, সুনামগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাবেক সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া আহমেদ স্বাধীন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুব অধিকার পরিষদ এর সাবেক দপ্তর সম্পাদক এনামুল হক এনাম, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দেবনাথ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহিদ আলী খোকন, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ তারেক, দিরাই সরকারি কলেজ আহবায়ক মিনহাজ তালুকদার, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখে আলোচনায় আসলেন দিরাই উপজেলার কৃতি সন্তান তরুণ সমাজ সেবক ও ছাত্রনেতা দিরাই উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাদ আহমেদ আরিফ।
ছাত্র নেতা আরিফের বক্তব্য রাখার পর পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী মানববন্ধনে বাধা সৃষ্টি করে। পরে নেতাকর্মীদের সাহসী কৌশলে এবং স্থানীয় মানুষের সমর্থনে পুলিশ ও আ,লীগের বাধা প্রদানকারী নিবৃত্ত হন। জনগণের অধিকার নিয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থে আরিফের এই সৎ সাহসী বক্তব্য শুনে শ্রোতা ও আশেপাশের আমজনতা মানববন্ধনের পক্ষে সহমত পোষণ করে আওয়ামী লীগ নেতা ও পুলিশকে আহ্বান জানায় মানববন্ধন সুষ্ঠুভাবে করার সুযোগ দেওয়ার জন্য পরবর্তীতে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ১ ঘন্টা বক্তব্য দেয়ার পর উক্ত মানববন্ধনে সমাপ্তি হয়।
ছাত্রনেতা রহাদ আহমেদ আরিফ তার বক্তব্যে বলেন- আজকের কর্মসূচি বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত মুক্তির সনদ কর্মসংস্থান সহ ৭দফা দাবিতে মানববন্ধনে উপস্থিত বাংলাদেশ ছাত্র-যুব শ্রমিক পেশাজীবী অধিকার পরিষদে সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সর্বস্তরের নেতা কর্মী ভাইয়েরা ও পথচারী শুভাকাঙ্ক্ষী শ্রোতা ভাই ও বোনেরা সবাই কে সালাম ও সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানাই।
প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা জানেন ভারতের সঙ্গে যখন আমাদের দেশ ভাগ হয় তখন হিন্দু ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ইংরেজরা দেশ ভাগ করেছিল।তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বাঙালি মুসলিমরা পূর্ববাংলা সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদেরকে পাকিস্তানি বানানো হয়েছিল। প্রিয় ভাইয়েরা পাকিস্তানিরা আমাদের ন্যায্য অধিকার না দেয়ায় ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বাংলার কৃষক শ্রমিক দামাল ছেলেরা।