৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৭:৩১
শিরোনামঃ

বাকি খেয়ে দেউলিয়া ছাত্ররা, ঢাবির জসীমউদ্দিন হল ক্যানটিন বন্ধ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩,
  • 183 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

 

‘দু লাখ টাহা পাই ছাত্রদের কাছ থেকে। স্যারদের বলেছি, ক্যাশে টাহা না থাকায় কর্মচারীরা চলে গেছে।’ কথাগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হল ক্যানটিনের ম্যানেজার মো. শাহজাহানের। বাধ্য হয়ে ক্যানটিন বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, বন্ধ ক্যানটিনের পাশের দোকানে খিচুড়ি, নুডলস বিক্রি হচ্ছে। ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ক্যানটিনের পেছনে গিয়ে দেখা মেলে শাহজাহানের।

ক্ষোভ ও দুঃখের সঙ্গে বলেন, ‘দু লাখ টাহা পাই ছাত্রদের কাছ থেকে। স্যারদের বলেছি, ক্যাশে টাহা না থাকায় কর্মচারীরা চলে গেছে।’ তাদের তো টাহা পয়সা সংকট, তারার টাহা তো পরিপূর্ণ শোধ কইরতে ন পারি। টাহাগুলা পাইলে দোকান খুইলতে পারমু, ক্যানটিনের কর্মচারীদের ডাকছি; আশা করি তারাও আইসা নতুনভাবে কাজ শুরু করবে আর আমিও ব্যবসা করতে পারমু।

অবশ্য এখনো আশা ছাড়েননি শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা টাহা পয়সা দিলে খুলতে পারি। কালকে খাবার চালু করমু ভাবতেছি। তাদেরও (ছাত্রদের) সব সময় টাহা থাকে না তাই বাকি খায়, আশা করি পেয়ে যাব।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘শাহজাহান খাবার বিক্রি করে কিন্তু ছাত্ররা বাকি খায়। যার কারণে পেরে উঠতে পারছে না। ছাত্ররা টাকা দিয়ে দিলে সেও কর্মচারীদের বেতন দিতে পারবে; তার ব্যবসাও চলবে।

জসীমউদ্দিন হলের একাধিক দোকানদারের সঙ্গে কথা হয়  এই প্রতিবেদকের। তাঁরা বলেন, ছাত্ররা নিজেদের ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে বাকি খায়, অনেকে অনেক দিন যাবৎ টাকা দেয় না। শাহজাহানের ওপর ভারটা বেশি হয়ে গেছে। আমরা ছাত্রদের ভালো সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমন বলেন, ‘ক্যানটিনে সংস্কারের কাজ চলছে বলে জানি। তবে বাকি টাকার একটি বিষয়েও শুনেছি, ক্যানটিন ম্যানেজার স্যারদের সঙ্গে আলাপ করেছেন; আশা করি সুন্দর সমাধান হবে।’

শাহজাহানের সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, ‘দুপুরে যখন জানতে পারি তখন ক্যানটিনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। সে কিছু টাকা বাকি রয়েছে বলে জানিয়েছে। আমরা তার কাছে লিস্ট চেয়েছি কিন্তু সে দেয়নি। কারণ সেও ছাত্রদের সমস্যা বোঝে, সমস্যা বোঝে বলেই বাকি দেয়। ছাত্রদের বিভিন্ন সময় আর্থিক সমস্যার কারণে হয়তো বাকি করে, আমাদের ছাত্ররা টাকাগুলো দিয়ে দিবে আশা রাখি।

মঙ্গলবার থেকে ক্যানটিন চালু হবে বলেও জানান হল প্রাধ্যক্ষ।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo