নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের মন্টু চন্দ্র হাওলাদার ও জুতিকা রানি দম্পতির ছেলে সৌরভ হাওলাদার(১৮)। নারায়নপুর পল্লী ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন স্কুল থেকে এসএসসি ও গুঠিয়া আইডিয়াল ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচইচএসি পাশ করে এবার এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।
রোববার (১২ মার্চ) প্রকাশিত ফলাফলে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন সৌরভ।
এ বিষয়ে সৌরভ হাওলাদার বলেন, ‘তার অদম্য ইচ্ছা শক্তিই তাকে এ সফলতা এনে দিয়েছে। শিক্ষা জীবনজুড়েই সে আর্থিক অভাব অনটনের মধ্যে দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে গেছে। বাবার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ছেলে ডাক্তার হবে।বাবার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে নিজের সবটুকু দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে সে।
বাবা পেশায় একজন কৃষক মা গৃহিণী । বাবার স্বল্প আয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া খুব কঠিন ছিল, তবুও হাল ছাড়েনি। মেধার জোরেই সে তার সব বাঁধা জয় করে মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।
এ বিষয়ে সৌরভের মা জুতিকা রানি বলেন, তাদের বাড়ির বসতভিটা আর মাঠে কয়েক অল্প জমি ছাড়া আর কিছুই নেই। সৌরভ ‘অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে। সে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার সাথে কৃষিকাজ করেই সংসার চালায়। আজ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাইছে। সৌরভ ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী, ছোট থেকেই তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। সে স্বপ্ন পুরণের জন্য সে কঠোর অধ্যবসায় করেছে।
ছেলের ভর্তির টাকা জোগাড় করা নিয়ে চিন্তায় আছেন সৌরভের বাবা মন্টু চন্দ্র হাওলাদার তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব। অভাবের সংসার। ঠিকমতো সংসার চলে না। এত দিন অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়িয়েছি। এখন সে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। ভর্তি হতে অনেক টাকার দরকার। পড়াশোনার খরচ চালাতে প্রতি মাসে টাকা দিতে হবে। এত টাকা কীভাবে দেব?’
পরীক্ষায় মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েও ভর্তির টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে তাঁর পরিবার। অর্থের অভাবে মেধাবী এই তরুণের স্বপ্নপূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তাই তার পরিবার এলাকার সকল বৃত্তবানদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনোরোধ করছে।