জনবলসহ নানা সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে বরিশালে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রম। বিভাগজুড়ে স্টেশনের সংখ্যা বাড়লেও বাড়ছে না জনবল। তার ওপর অপরিকল্পিত নগরায়নে বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, স্টেশনগুলোতে বর্তমানে ফায়ার ফাইটারের সংখ্যা এক হাজারের কিছু বেশি। কিন্তু প্রয়োজন প্রায় দ্বিগুণ।
বরিশাল জেলার ৯ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সংখ্যা ১১টি। এর মধ্যে আগৈলঝাড়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটলে গৌরনদী স্টেশনের ওপর ভরসা করতে হয়। তবে দুই উপজেলা সামাল দিতে সর্বোচ্চ ৫টি ইউনিট রয়েছে গৌরনদীতে।
তাছাড়া বরিশাল মহানগরী এলাকায় রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি স্টেশন। এরমধ্যে বরিশাল সদর স্টেশনে ৯টি ও দক্ষিণ স্টেশনে ৪টি ইউনিট রয়েছে।
জানা গেছে, আগে বরিশাল সদরের জন্য ছিল একটি মাত্র ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। কয়েক বছর আগে এই সদর স্টেশন থেকে জনবল নিয়েই নগরীর কাশিপুর এলাকায় শুরু হয় ফায়ার সার্ভিস (দক্ষিণ) স্টেশনের যাত্রা। কিন্তু কর্মী সংখ্যা বাড়েনি।
তবে জনবল না বাড়লেও আধুনিক যন্ত্রপাতি বাড়ানো হয়েছে বরিশাল সদর ফায়ার সার্ভিসে। আগে সেখানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণের ভরসা ছিল দমকল ও তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড নজল লিয়ে স্প্রে। তা দিয়ে সর্বোচ্চ ৬ তলা পর্যন্ত ভবনে উদ্ধার অভিযানের সক্ষমতা ছিল তাদের। পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসে যুক্ত হয় অগ্নিনির্বাপক প্রযুক্তির মোটরসাইকেল, অগ্নিনির্বাপক রোবট ও সুবিশাল মই। চাকাযুক্ত রোবটটি দূর থেকে রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা পরিচালিত হয়। এর সাহায্যে কাছে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
তাছাড়া উদ্ধার তৎপরতায় সক্ষমতা বাড়াতে আরও একটি ৬৪ মিটারের মই সংযোজন হয়েছে বরিশালে। এর সাহায্যে সর্বোচ্চ ২৪ তলা পর্যন্ত ভবনে উদ্ধার তৎপরতা চালানো সম্ভব।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সারাদেশেই ফায়ার সার্ভিসে জনবল সংকট রয়েছে। এক হাজারের কিছু বেশি কর্মী দিয়ে চলছে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের হ্যাজম্যাট ইউনিট। যারা বিস্ফোরক ও গ্যাস প্ল্যান্ট দুর্ঘটনার সময় কাজ করেন। তাই কারিগরি সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি জনবলও বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। তবে সংকটের মধ্যেও যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা প্রস্তুত বলে জানান এই কর্মকর্তা।