৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ১২:৪২
শিরোনামঃ

বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে জখম, এমপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, মার্চ ২১, ২০২৩,
  • 198 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

বিপুল পরিমান পুলিশ ও র‌্যাবের উপস্থিতিতে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলা ও কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরেক পক্ষ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের অনুসারী একই দিন জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উপজেলা সদরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে শান্তি মিছিলের ঘোষিত কর্মসূচি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে শান্তি মিছিলের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এরপরেও সহিংসতা এড়াতে উপজেলা সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আজ সকাল থেকে বিপুল পরিমান র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে,গত শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে ঘিরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। ওই সংঘর্ষের সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেবের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে আবদুল মোতালেবের পক্ষ। গত রোববার তাঁরা ওই কর্মসূচি ঘোষণা করে।

ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাউফল পৌরসভার কাগুজিরপুল এলাকা থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি গোলাবাড়ি, বাউফল প্রেসক্লাব, শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম ও বাজার রোড হয়ে থানার পাশে ইলিশ চত্বরে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

এতে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তালুকদার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোস্তফা, বাউফল সদর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিুল ইসলাম, জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রেজাউল কামাল ওরফে পল্টু প্রমূখ। মিছিলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের তিন সহাস্রাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত এবং তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে ওই হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন। তাঁরা ওই হামলার ঘটনার জন্য সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজকে দায়ী করে বলেন, আ স ম ফিরোজের উপস্থিতিতে ও হুকুমে তাঁর দুই ভাতিজা মনির হোসেন মোল্লা ও আলকাচ মোল্লার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী দলের সবচেয়ে ত্যাগী নেতা আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। বক্তারা আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo