৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ১:১৫
শিরোনামঃ

মেসির হ্যাটট্রিকে কুরাসাওর জালে আর্জেন্টিনার ৭ গোল

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ বুধবার, মার্চ ২৯, ২০২৩,
  • 173 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

পায়ের জাদুতে পুরো বিশ্বকে মুগ্ধ করেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর লিওনেল মেসি। নান্দনিক ছন্দে মেসি কেড়ে নিয়েছেন ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়। তার কৃতিত্বেই দলটি পেয়েছে তিন তারা। এর পর থেকেই অবিস্মরণীয় সময়ই কাটছে আর্জেন্টিনার। হোক না প্রীতি ম্যাচ।

বিশ্বচ্যাম্পিয়নের আবহ নিয়েই তারা মুখোমুখি হয়েছিল কখনো বিশ্বকাপ না খেলা দল কুরাসাওর। দক্ষিণ ক্যারিবিয়ান সাগর ও ডাচ ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দ্বীপদেশটিকে পেয়ে একেবারে ছেলেখেলাই করেছে মেসিরা। গোলের মালা পরিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা তাদের ৭-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে। তাতে আন্তর্জাতিক বিরতিটা সাফল্যের সঙ্গেই কাটলো আর্জেন্টিনার। দুই প্রীতি ম্যাচে করেছে ৯ গোল!

র‌্যাঙ্কিংয়ের ৮৬তম দল হলেও স্ক্যালোনি প্রতিপক্ষকে মোটেও হালকাভাবে নেননি। বরং বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা ৫ জনকে একাদশে নিয়েই দল সাজিয়েছিলেন।

সান্তিয়াগো দেল এস্তেরোয় ঘরের মাঠে শুরু থেকেই ছিল আর্জেন্টিনার আধিপত্য। তাদের আক্রমণের ঢেউ সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছিল সফরকারীদের। দেখতে দেখতে ২০ মিনিটে আর্জেন্টিনার গোলমুখ উন্মুক্তও করেন মেসি। তাতে পানামার বিপক্ষে ৯৯তম আন্তর্জাতিক গোল করা আর্জেন্টাইন অধিনায়ক কুরাসাওর বিপক্ষেও পেয়ে যান শততম গোল। বক্সের মধ্যে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারের চ্যালেঞ্জ সামলে ডানে গিয়ে নিচু শটে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। অবশ্য তার আগে ১২ মিনিটে মনতিয়েল্লের কাট ব্যাক থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেছেন। তাকে রুখে দেন কুরাসাও গোলকিপার। ৩৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যান আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা। চার মিনিট পর পূরণ করেন জাতীয় দলের হয়ে নবম হ্যাটট্রিক। এর আগে ২৩ ও ৩৫ মিনিটে যথাক্রমে দুটি গোল করেন নিকোলাস গঞ্জালেস ও এনজো ফার্নান্দেস।

প্রথমার্ধে আক্রমণের তেজ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে সেটি সীমিত হয়ে পড়েছিল। বল দখলের পরিমাণ বাড়ে যদিও। বিশেষ করে প্রথমার্ধে ১৫ প্রচেষ্টার তুলনায় এই অর্ধে তার ধারেকাছেও ছিল না। তবে কিছু সুযোগ মিস না হলে গোল ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন মার্তিনেজ। তার নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ফিরিয়েছেন কুরাসাও গোলরক্ষক।

৭৮ মিনিটে প্রতিপক্ষের হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। তার পর স্পট কিকে স্কোর ৬-০ করেছেন বদলি হয়ে নামা অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া। তার পর ৮৬ মিনিটে মেসিও সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার একক প্রচেষ্টার শট কোনওরকমে হাত দিয়ে রক্ষা করেছেন কুরাসাও গোলরক্ষক।

এর এক মিনিট পর ঠিক-ই স্কোর ৭-০ করেছেন মন্তিয়েল। ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে বাম প্রান্ত থেকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল মুখে বল দেন দিবালা। সুযোগ পেয়ে কোনও ভুল করেননি মন্তিয়েল।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo