বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত লাঙল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে অক্সফোর্ড মিশন রোডের বাসভবনের নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন।
ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল আমি প্রত্যাখ্যান করছি। একই সঙ্গে রাজশাহী ও সিলেটের নির্বাচন বর্জনের জন্য কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’
বরিশাল নগরবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি আপনাদের আশা, আকাঙ্ক্ষা, মর্যাদা, ভোটাধিকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছি। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বলেছিল, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন, সরকার ও সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আপনাদের সঙ্গে ডিজিটাল প্রতারণা করেছে।’
এ সময় তিনি ইসির কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তাদের পদত্যাগ দাবি করেন। একই সঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের নেতা ফয়জুল করীমের ওপর হামলার বিচার দাবি করেন।
ইকবাল হোসেন আরও বলেন, ‘ইভিএম তো মানুষ পরিচালিত। মেশিনের পেছনের মানুষগুলো সব সরকারের পক্ষে কাজ করেছে। আমাদের শুধু নেতাই আছে দশ হাজারের ওপরে। এ ছাড়া কর্মী, সমর্থক, আত্মীয় আছে। সেই ভোটগুলো গেল কোথায়? দুপুর ৩টা পর্যন্ত ভোট ছিল ৩০-৩৫ শতাংশ। ১ ঘণ্টায় ৫১ শতাংশ কীভাবে হয়? এই কমিশনের ওপর আস্থা রাখার আর কোনো কারণ নাই। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সঠিক কাজ করেছে। আর আমরা প্রমাণ করেছি এই কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত হবে না।’
ভোটের ফলাফল আগেই নির্ধারিত ছিল বলে অভিযোগ করে লাঙল মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র আমাকে টার্গেট করে ফলাফল ঘোষণা করেছেন। ভোটকেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের কাছে প্রিসাইডিং অফিসার ও অন্যান্য নির্বাচনী কর্মকর্তা, পুলিশসহ অন্যান্যরা ছিল অসহায়।’
জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আমার পক্ষে যে ভোট দেখানো হয়েছে তা আমার একটি ওয়ার্ডের ভোটের সমান। আমাদের ৩০টি ওয়ার্ডে জাতীয় পার্টি প্রায় ১৫০ সদস্য বিশিষ্ট ৩০টি কমিটি আছে। যুব সংহতিসহ অন্যান্য সংগঠনেরও কমিটি আছে। এই ভোটগুলো কোথায় গেল?’