৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৮:০৬
শিরোনামঃ

বরিশাল ছাত্রলীগ নেতা মান্নাসহ ১২ জনের জামিন

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ বুধবার, জুন ১৪, ২০২৩,
  • 170 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

প্রায় একমাস পর জামিন পেয়েছেন বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্নাসহ তার ১২ জন অনুসারী।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম রাশেদুজ্জামান রাজা তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

জামিন পেয়েছেন- মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না, মান্নার ছোট ভাই রিসাদ আহম্মেদ নাদিম (২৫), আর আর এফ পুলিশ লাইনস এলাকার বাসিন্দা পারভেজ হাওলাদার (৩২), নগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গবন্ধু কলোনীর বাসিন্দা শান্ত ইসলাম (২৪), ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান সম্পদ (৩০), একই এলাকার মিজানুর রহমান শাওন (২৫), নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মামুন হাওলাদার (৩৬), ১ নম্বর ওয়ার্ডের আল আমিন হাওলাদার (২৮), একই এলাকার রাসেদ হাওলাদার (২৫), কাউনিয়া প্রথম গলির বাসিন্দা ইমরান হোসেন সজিব (৩০), কাউনিয়া জানুকি সিংহ রোডের ফাহিম (২২), কাউনিয়া কালাখার বাড়ীর সুমন হাওলাদার (২৯) এবং ২ নম্বর এলাকার নান্টু সন্যামত (৫৩)।

আদালতের বেঞ্চসহকারী কামরুল ইসলাম জানান, নৌকার সমর্থকদের মারধর ও হুমকি দেওয়ার মামলায় মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মান্নাসহ তার অনুসারী ১২ জনকে জামিন দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অন্যকোনো মামলা না থাকায় তাদের মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।

২৯ দিন কারাভোগের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবুল বাশার।

গত ১৪ মে সন্ধ্যায় নগরীর কাউনিয়া মহাশশ্মানের সামনে বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতের চার কর্মীকে মারধর করা হয়। এতে আহত হয়ে তিনজন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এ ঘটনায় ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০ জন ও র‌্যাব তিনজনকে আটক করে।

এ ঘটনায় হামলায় আহত মনা আহম্মেদ বাদী হয়ে বরিশাল মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জনতার পথরোধ করে খুনের উদ্দেশে সাধারণ ও গুরুতর জখম করাসহ হত্যার হুমকি ও সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতা মান্না বরিশালের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ঘটনার সময় মান্না সেখানে ছিলেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও দাবি করেছে।

উল্লেখ্য, মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মান্না নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন। কারাগারের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ায় তার প্রার্থীতা বাতিল করেছিলেন রির্টানিং কর্মকর্তা। আপীল কর্তৃপক্ষও তার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দেয়নি। পরে উচ্চাদালতের নির্দেশে প্রার্থী ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। এছাড়াও তাকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। তাকে ঘুড়ি প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরে উচ্চাদালতের আপীল বিভাগ পূনরায় প্রার্থীতা ও জামিন বাতিল করে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo