৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ভোর ৫:০২
শিরোনামঃ

পরীমণির -নাসিরের মামলা: প্রতিবেদন না দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাকে শোকজ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৪, ২০২৩,
  • 207 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলার তদন্ত করছেন কে তা গত এক বছরেও জানতে পারেননি আদালত।

গত বছরের ১৮ জুলাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলেও এখনো পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। আর এ কারণে তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি। আর এ কারণে আদালত কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তাকে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম এই আদেশ দেন।

আদালত আদেশে উল্লেখ করেছেন, যেহেতু মামলার নথিতে তদন্ত কর্মকর্তা কে সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই সেই কারণে সিআইডির সদর দপ্তরে নোটিশ পাঠানো হোক। গত বছর ৬ জুলাই নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৮ জুলাই আদেশ দেন। মামলায় পরীমণি ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগী ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আসামি করা হয়।

বাদী তাঁর মামলায় উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী এবং তাঁরা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমণি তাঁর পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখায়।

২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয় তলার ওয়াশ রুম ব্যবহার করেন। পরে তাঁরা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তাঁর সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাতে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন তখন পরীমণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসিরকে ডাক দেন এবং তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে পরীমণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসিরকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

বাদী মামলায় আরও উল্লেখ করেন, পরীমণি ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন বলে বাদী মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, একই দিনের ঘটনায় পরীমণি বাদী হয়ে নাসিরসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় শীলতাহানির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo