জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বরগুনায় জেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেলা ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যান নবগঠিত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানের নেতৃত্বাধীন নেতাকর্মীরা।
এ সময় তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন সভাপতির পদ বঞ্চিত নেতাকর্মী ও তাদের সমর্থকরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
জানা গেছে, কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ইটপাটকেল নিক্ষেপে ভেঙেছে পুলিশের গাড়ি।
গত ২০ দিন আগে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হলে নবগঠিত কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় পদবঞ্চিতরা। অভিযোগ ওঠে নবনির্বাচিত সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরানের ওপর চড়াও হয়ে ধাওয়া দেন পদবঞ্চিতরা। এরই জেরে জেলা প্রশাসন আয়োজিত শোক দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলে দুই গ্রুপের মধ্যে এলোপাথাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়।
এ ঘটনায় বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর কাছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন। এসময় পাশ থেকে একজন উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান বলেন, ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ফুল দিয়ে ফেরার সময় আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। একটি গ্রুপ ছিল শিল্পকলা একাডেমির তিন তলায়। সেখান থেকেই তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। নিচে থেকেও আরেকটি গ্রুপ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।