ভারতের পুনে শহরে শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে এক পুলিশি অভিযানে ১৯ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের খবব ছেপেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম গুলো। পুনের বুধয়ার পেঠ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ অভিবাসনের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১০ নারীও রয়েছেন।
পুনের সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক ভারত যাদব জানান, আটক বাংলাদেশিরা দীর্ঘদিন ধরে পুনেতে অবৈধভাবে বসবাস করে আসছিলেন। যদিও তারা নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তাদের মোবাইল ফোন তল্লাশি করে দেখা গেছে, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সবচেয়ে বেশি কল করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ভারত যাদব বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ২০২২ সাল থেকে কাজের জন্য পুনে শহরে অবস্থান করছেন বলে দাবি করেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ হিন্দি বলতে ও বুঝতে পারলেও অন্যরা স্থানীয় ভাষায় কথা বলে করতে পারেন না। আমরা তাদের বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে ছয়টি সেলফোন ছাড়া কিছু পাওয়া যায়নি। এদের কয়েকজন প্রসাধনী ও সিগারেট বিক্রির কাজ করে। অন্যরা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন।
তিনি জানান, ভারতীয় জাতীয়তা প্রমাণ করার জন্য তাদের কাছে কোনও পরিচয়পত্র বা অন্য কোনো শনাক্তকারি কাগজ তাদের কাছে ছিল না। পুনেতে অবৈধভাবে অবস্থানের পেছনে তাদের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য জানার চেষ্টাও চলছে। এই বাংলাদেশিদের পুনেতে নিয়ে আসা এজেন্টদেরও শনাক্ত করা হবে। ভারতের পাসপোর্ট আইন এবং বিদেশি আইনের আওতায় এই বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য তাদেরকে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে।