৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৯:৫১
শিরোনামঃ

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৮, ২০২২,
  • 392 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

 

হঠাৎ করেই এবং আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম এবং নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া ও জ্ঞান হারানো হলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম হঠাৎ বাধাগ্রস্ত হলে এমনটা ঘটে। যার ফলে রক্ত পাম্প করার কাজটিও বাধাগ্রস্ত হয় এবং দেহে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে দ্রুত হাসাপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হয়। আর দ্রুত যথাযথ চিকিৎসা না দিতে পারলে হঠাৎ করেই মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে।
যদি সময় মতো এমন রোগীকে সঠিক চিকিৎসার আওতায় আনা হয় তাহলে হয়তো তিনি বেঁচে যেতে পারেন। না হলে সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট মুহূর্তেই কার্ডিয়াক ডেথ হতে পারে।

বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান এক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, হৃদরোগের কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট দায়ী।

তাই নিজে বাঁচতে অন্যকে বাঁচাতে সবারই জেনে রাখা উচিত হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কেন হয়, এর উপসর্গ ও চিকিৎসাই। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বিস্তারিত-

প্রথমে জানুন হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কী?
হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা, শ্বাস-প্রশ্বাস ও চেতনা আকস্মিকভাবে কমে যায়। এটি হৃৎপিণ্ডে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ঘটে। শরীরে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হওয়ায় হৃদযন্ত্র পাম্পিং করতে পারে না। এক্ষেত্রে যখন হৃদপিণ্ড কাজ করা বন্ধ করে দেয় তখনই রোগী ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। এ সময় রোগী অচেতন হয়ে যান, আর তখনই যদি তার চিকিৎসা শুরু করা যায় তাহলে তিনি বেঁচে যেতে পারেন।

হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ কী?
এসসিএ-এর সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো অ্যারিথমিয়া যা হৃৎপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যার কারণে অনিয়মিত বা অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন। হৃৎপিণ্ডের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা হৃদস্পন্দনের হার ও ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করে। হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিক ছন্দে কোনো বাধা অ্যারিথমিয়া হতে পারে। এছাড়া করোনারি হার্ট ডিজিজ, জন্মগত হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, ভালভুলার হার্ট ডিজিজ বা হার্ট বড় হয়ে যাওয়ার মতো বিভিন্ন কারণেও হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়ে।

হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের লক্ষণ কী?
এসসিএ-র উপসর্গগুলো আকস্মিক ও গুরুতরভাবে ঘটে তাও আবার হঠাৎ করেই। এর মধ্যে আছে- হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি, অচেতন হয়ে পড়া, মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা, দুর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ধড়ফড় করা, ঘ্রাণ না পাওয়া ইত্যাদি। বেশিরভাগ রোগীই এসসিএ’তে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এই লক্ষণগুলো অনুভব করেন।

হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের চিকিৎসা কী?
রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রথমেই কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর), ডিফিব্রিলেটর ব্যবহার করে (যে ডিভাইসগুলি হৃৎপিণ্ডে বৈদ্যুতিক স্পন্দন বা শক পাঠিয়ে স্বাভাবিক হৃদস্পন্দন পুনরুদ্ধার করে) রোগীর হৃদস্পন্দন ফেরানোর চেষ্টা করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি স্বাস্থ্যকর ও সুষম জীবনধারা বজায় রাখার মাধ্যমে এসসিএ’র মতো হৃদরোগের সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট?

>>> নিয়মিত চিকিত্‌সককে দিয়ে হৃদপিণ্ড পরীক্ষা করাতে হবে।

>>> যদি আপনার পরিবারের অনেকেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের স্বীকার হয়ে থাকেন, তাহলে আরো বেশি খেয়াল রাখুন।

>>> স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন।

>>> সঠিক ডায়েট মেনে খাবার খান।

>>> নিয়মিত শরীর চর্চা করুন। তবে অতিরিক্ত নয়।

>>> ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

>>> ধূমপান করবেন না।

সূত্র: এনডিটিভি

 

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo