৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৪:২৮
শিরোনামঃ

গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে কৃষ্ণচূড়ার রঙে সেজেছে বরিশালের প্রকৃতি

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ শুক্রবার, এপ্রিল ৩০, ২০২১,
  • 411 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

গ্রীষ্মের তপ্ত রোদের প্রখরতা গায়ে মেখে রক্তিম টুকটুকে লাল কৃষ্ণচূড়ার ফুলে ফুলে সেজেছে বরিশালের প্রকৃতি। চোখ ধাঁধানো টুকটুকে এই লাল ফুলে সু-সজ্জিত হয়ে প্রকৃতি আরেক নতুন সাজে সেজেছে।

এই সময়টায় জেলার বিভিন্ন উপজেলার পথে প্রান্তরে ফুটেছে কৃষ্ণচূড়া। সাধারণত আমরা এসব অঞ্চলে লাল রঙেই দেখতে খুব বেশি অভ্যস্ত।

তবে উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, কৃষ্ণচূড়া তিন রঙের হয়। লাল, হলুদ ও সাদা। কম হলেও হলদে রঙের কৃষ্ণচূড়া চোখে পড়ে। তবে সাদা রঙের কৃষ্ণচূড়ার দেখা মেলে না বললেই চলে। তিন রঙের কৃষ্ণচূড়া গাছই উঁচু এবং অনেকটা জায়গা জুড়ে এরা বিস্তার ঘটায়। বসন্ত শেষে ও গ্রীষ্মের রৌদ্রের দাহের মধ্যে প্রায় একই সময়ে তিন রঙেরই কৃষ্ণচূড়া ফুল ফোটে প্রকৃতিকে নতুন রুপ দেয়।

সরেজমিনে বরিশাল জেলা শহরসহ উজিরপুর, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, বাবুগঞ্জ, বানারীপাড়া ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে প্রায় প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কের পাশে দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়া গাছের। এসব এলাকার কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় ফুটে আছে রক্তাক্ত লাল রঙের এই ফুল।

 

গ্রীষ্মের প্রখর রোদের সবটুকু উত্তাপ গায়ে মেখে সবুজ চিরল পাতার মাঝে ফুটেছে এই রক্তিম পুষ্পরাজি। দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন আগুন জ্বলছে। গ্রীষ্মের ঘামঝরা দুপুরে প্রচন্ড তাপদাহে ওষ্ঠাগত পথিকের মনে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া এক ধরনের প্রশান্তি এনে দেয়।

পথচারীরা অবাক বিস্ময়ে, পুলকিত নয়নে উপভোগ করেন কৃষ্ণচূড়ার এই অপরুপ সৌন্দর্য্য। প্রচণ্ড তাপদাহে ফোটা এই ফুলের রূপে মুগ্ধ হয়ে যে কোনাে পথচারী থমকে তাকাতে বাধ্য হয়। শোভা বর্ধনকারী এ বৃক্ষটি দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি শহরের মানুষের কাছেও সমান গুরত্ব বহন করে।

এর কাঠ তুলনামূলক দামী না হওয়া এবং ভালো কোনো ব্যবহারে না আসায় বাণিজ্যিকভাবে এ গাছ রোপণে আগ্রহ অনেক কম। তবে শখের বেলায় এর কদর রয়েছে বেশ। বর্তমানে বৃক্ষ নিধনের শিকার হয়ে কমে যাচ্ছে রঙিন এই গাছ।

প্রকৃতির সৌন্দর্য বহনকারি এই গাছ এক সময় হারিয়ে যাবে এমন শঙ্কা প্রকাশ করে জেলার উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর এলাকার বাসিন্দা এস এম আউয়াল খান জানান, ‘কৃষ্ণচূড়া গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এর সৌন্দর্য চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। এতে করে স্থানীয়রা যেমন প্রশান্তি পাবেন, তেমনি পথচারীরা মুগ্ধ হবেন।’

সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কার। শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা এই বৃক্ষ সহ্য করতে পারে। ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, আফ্রিকা, হংকং, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন, বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে এটি প্রাকৃতিকভাবেই জন্মে থাকে। এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Delonix regia। এটি Fabaceae পরিবারের অন্তর্গত একটি বৃক্ষ।

এই গাছ বিষয়ক বিভিন্ন জার্নালের তথ্য-উপাত্ত সূত্রে জানা যায়, সৌন্দর্য বর্ধক গুণ ছাড়াও কৃষ্ণচ‚ড়া গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত। কৃষ্ণচ‚ড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাখা-পল্লবে এটির ব্যাপ্তি বেশ প্রশস্ত। এর ফুলগুলো সাধারনত বড় চারটি পাপড়ি যুক্ত। মুকুল ধরার কিছু দিনের মধ্যে পুরো গাছ ফুলে ফুলে ভরে যায়।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo