৫ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ সকাল ৭:৩৮
শিরোনামঃ

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এল ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিন

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ বুধবার, আগস্ট ৩১, ২০২২,
  • 287 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে আবারও একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। সমুদ্রসৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে তিন কিলোমিটার পূর্ব দিকের জাতীয় উদ্যানসংলগ্ন এলাকায় এ ডলফিনকে উদ্ধার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকেলের জোয়ারে ৭ ফুট দৈর্ঘ্যের ডলফিনটি ভেসে এসে তীরে আটকা পড়ে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।

খবর পেয়ে ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যরা গিয়ে সৈকতের বালুচর থেকে ইরাবতী প্রজাতির মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করেন। পরে সেটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য কে এম বাচ্চু জানান, ভেসে আসা ডলফিনটি দেখে তিন-চার দিন আগে মারা গেছে বলে মনে হয়েছে। এর শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে শরীরটি ফুলে গেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকো ফিশ-২ অ্যাক্টিভিটির পটুয়াখালী জেলার সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কুয়াকাটা সৈকতে ১১টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। এর আগে ২০২০ সালে ১৮টি এবং ২০২১ সালে ২৪টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে এ সৈকতে। সৈকতে একের পর এক মৃত ডলফিন ভেসে আসার বিষয়টি উদ্বেগের।

স্থানীয় কয়েকজন জেলে জানান, কলাপাড়া উপজেলার আলীপুর মৎস্যবন্দরের কয়েকজন অসাধু ট্রলারমালিক তাঁদের ট্রলারে ‘ট্রলিং জাল’ নামের একধরনের জাল ব্যবহার করে থাকেন। এসব জাল সমুদ্রে ফেলার জন্য ট্রলারে ক্রেনের মতো থাকে। এসব জালে সামুদ্রিক কচ্ছপ, ডলফিন, হাঙর ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী অজস্র আটকা পড়ে। স্থলভাগে বিক্রি নিষিদ্ধ হওয়ায় সেগুলো আবার সাগরেই ফেলে দিয়ে আসেন জেলেরা।

সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন করতে কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) এস এম আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আলীপুরের একজন মালিক ট্রলিং ফিশিং করতেন। সেই ট্রলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদি আরও কেউ সমুদ্রে এ ধরনের ট্রলিং ফিশিং করে থাকেন, তাদের বিরুদ্ধে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo