বরগুনার তালতলীতে প্রেমিকের বাড়িতে জিম্মায় থাকা মারুফা আক্তার (১৫) নামের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বেথিপাড়া নিজ বাড়ির পুকুর পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরীর পরিবারের দাবি, নির্যাতন শেষে হত্যা করে তার লাশ পুকুর পাড়ে রাখা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের বেথিপাড়া এলাকার মৃত হানিফ হাওলাদারের মেয়ে মারুফার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী গ্রামের সুলতান পহলানের ছেলে হৃদয় পহলানের (২৫) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এরই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হৃদয় ও মারুফা ঠাংপাড়া এলাকায় একটি বাগানে দেখা করতে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করেন। পরে উভয়কে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় হৃদয়ের বাড়িতে চাচা সোনা মিয়া ও বড় ভাই সোলেমানের কাছে মারুফাকে জিম্মায় রাখা হয়। পরে মারুফার ছোট বোন মারিয়া (১২) সকালে বাড়ির পুকুর পাড়ে গেলে মারুফার লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রেমিক হৃদয়কে থানায় এনেছে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের পর থেকেই জিম্মাদার হৃদয়ের চাচা সোনা মিয়া ও ভাই সোলেমান হোসেনসহ তাদের পরিবারের সবাই পলাতক রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পিবিআই ও সিআইডির টিম এসেছে। তারা তদন্ত করছেন। বিস্তারিত তদন্ত করে বলা যাবে।