৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ রাত ৯:৪৭
শিরোনামঃ

ঝালকাঠিতে ঋণের টাকা না দেওয়ায় ট্রলার চালককে হত্যাচেষ্টা

রিপোর্টার নাম
  • আপডেট টাইমঃ রবিবার, আগস্ট ৭, ২০২২,
  • 195 সংবাদটি পঠিক হয়েছে

একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় পার্থ হালদার (২৬) নামে এক ট্রলারচালককে হাত, পা ও মুখ বেধে খালে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুমুর্ষ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পার্থ ঝালকাঠির ভাসমান পেয়ারার হাট ভীমরুলী এলাকায় ট্রলারে করে পর্যটকদের ঘুুরে দেখানোর কাজ করেন। তিনি ভীমরুলী গ্রামের পরিমল হালদারের ছেলে। ট্রলারচালকে উদ্ধারের একটি ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে স্থানীয়রা। এটি মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

পার্থর স্বজনরা জানায়, ‘পেয়ারা চাষী সমবায় সমিতি’ নামে স্থানীয় একটি এনজিও থেকে ছয় মাস আগে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেয় পার্থ হালদার। এ টাকা দিয়ে একটি ট্রলার ভাড়া করে তিনি ভীমরুলী পেয়ারার ভাসমান হাটে পর্যটকদের নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কাজ করতেন। এতে যা আয় হতো তা দিয়েই চলতো তাদের সংসার। ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় শনিবার দুপুরে পার্থর সঙ্গে এনজিওর মালিক জীবন কৃষ্ণ নামে এক ব্যক্তির কথার কাটাকাটি হয়। এ সময় এনজিও প্রতিনিধি পার্থকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। রাতে পার্থ বাড়ি ফেরার পথে জীবনের নেতৃত্বে এনজিওতে চাকরি করা কয়েকজন মিলে পার্থর ট্রলার আটক করে। তাঁরা পার্থর হাত, পা ও মুখ বেধে খালে ফেলে দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা পার্থর গোঙানির শব্দ শুনতে পেয়ে দুয়ারিবাড়ির খাল থেকে তাকে জীবিত উদ্ধার করে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তারেই তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পার্থের স্ত্রী সমাপ্তি হালদার বলেন, ‘ছয় মাস আগে জীবন কৃষ্ণ বাবুর সমিতি থেকে ১৫ হাজার টাকা ঋণ নেন পার্থ। কিস্তির টাকা শোধ করতে ট্রলার ভাড়া নিয়ে পেয়ারা বাগানে পর্যটকদের ঘুরে দেখানোর কাজ করেন। অভাবের সংসারে দৈনিক অল্প যা আয় হয় তা দিয়েই দিন চলত। এরমধ্যে কিস্তির টাকা দিতে না পারায় সমিতি থেকে লোকজন প্রতিদিন তাকে মারতে আসত। তারাই আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছে।’

পার্থকে উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া সাগর হালদার বলেন, পথচারি একজন হাত পা বাধা অবস্থায় পার্থ হালদারকে দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেয়। পরে আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধা করি। এনজিও মালিক জীবনের সঙ্গে গত শনিবার তর্ক হয়েছে পার্থর, তারাই তাকে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে আমার ধারণা। সময়মতো পার্থকে উদ্ধার করা না হলে তার মৃত্যু হতো।

কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, অভিযুক্ত জীবন ট্রলারচালক পার্থের কাছে টাকা পাবেন এ বিষয়টি সত্যি। এর জেরে গত শনিবার জীবন তাঁর ট্রলার আটকায়। তবে পার্থকে কে বা কারা খালে ফেলল সে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।’

সমিতির মালিক অভিযুক্ত জীবন রাত থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ঝালকাঠি থানার ওসি খলিলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ দিলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এই পোস্টটি শেয়ার করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ ...

© All rights reserved © 2021
Developed By Engineerbd.net
EngineerBD-Jowfhowo