বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রার্থীর সঙ্গে বরিশাল সদর উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা শেষে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার ছবি ধারণ করতে গিয়ে তোপের মুখে পরেছেন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরাপারসন ও পত্রিকার ফটো সাংবাদিকরা। এসময় অন্তত ৩০ জন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে ওইসব আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (১৭ মে) রাতে মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুল হক খান মামুনের বাসভবনে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নৌকার প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেওয়া ও সভা শেষে প্যাকেট বিতরণ নিয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের দুই অনুসারী দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরেন। এই দুই নেতা হলেন— জেলা পরিষদের সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ। এরপর দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই ঘটনার ভিডিও ও স্থীরচিত্র ধারণ করতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা নেতাকর্মীরা বাধা দেয়। তখন অন্তত ৩০ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখে ওই দুইজনের সমর্থকরা। পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এশিয়ান টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন আজিম শরীফ বলেন, হাতাহাতির ঘটনার ছবি ধারণ করতে গেলে ছাত্রলীগের লোকজন আমাদের ক্যামেরার ওপর থাবা বসায়। এ নিয়ে ধস্তাধস্তিও হয় আমাদের সঙ্গে। এক পর্যায়ে আমিসহ আমার প্রায় ৩০ জন সহকর্মীকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা এসে আমাদের মুক্ত করে।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানায়, নৌকার প্রার্থীকে বিব্রত করতে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে ওই দুইটি পক্ষ।
হাতাহাতির বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে, আর কিছু না।
মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন জানান, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছিলে। পরে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।