অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ দেখা দিয়েছে দেশের সর্বত্র। টানা খরায় পুড়ছে পটুয়াখালীও। বৃষ্টির জন্য চারদিকে হাহাকার পড়েছে। ফসলি জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। ফলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে আমন আবাদে।
এ অবস্থায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বৃষ্টির জন্য ইস্তেখারা নামাজ ও বিশেষ দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বাহেরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই নামাজ আদায় করেন আলেম উলামা ও সারারণ মুসল্লিরা।
উপজেলার সাজির হাওলা আকবারিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা সুলতানুর রহমান এ বিশেষ নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। এতে প্রায় তিন শতাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন।
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট ও কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। এছাড়া গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ।
কৃষক মনির মিয়া বলেন, চাষবাস করে আমাদের পেট চলে। কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষেত শুকিয়ে গেছে। বীজ করেছি, সেগুলো রোদের তাপে পুড়ে গেছে। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।
একই গ্রামের নওসের শিকদার বলেন, প্রচণ্ড গরম। মানুষ অতিষ্ঠ। বর্ষার এই মৌসুমে এমন গরম আগে কখনো দেখিনি। বৃষ্টি নেই বললেই চলে। মাঝেমধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এতে ফসল ফলানো যাবে না। কৃষকরা খুব কষ্টে রয়েছেন।
নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা সুলতানুর রহমান বলেন, এখন বর্ষা মৌসুম। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় হাহাকার চলছে। কৃষকরা চাষাবাদ করতে পারছেন না। এমন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এই নামাজ আদায় ও দোয়া মোনাজাত করা হয়। আল্লাহ যেন রহমত নাজিল করেন, এটিই আমাদের উদ্দেশ্য।’